১০ বছরের শিশু ধর্ষণের মূল্য দেড় লাখ টাকা; মাতব্বররা নেন ৫৮ হাজার

১০ বছরের শিশু ধর্ষণের মূল্য দেড় লাখ টাকা; মাতব্বররা নেন ৫৮ হাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল: 

টাঙ্গাইলে দশ বছর বয়সী মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জোরপূর্বক গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। সালিশে ধর্ষণের মূল্য দেড় লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলেও পরিবারের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় ৯২ হাজার টাকা। বাকি ৫২ হাজার টাকা মাতাব্বররা ঘুষ নেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। 

ঘটনা জানাজানি হলে দশজনকে আসামি করে মামলা দেয়া হলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশ দাবি করছে, ঘটনা জানা মাত্র মামলাসহ আসামি ধরতে তৎপর হয়েছেন।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গেল ১৭ই ফেব্রুয়ারি নানীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ১০ বছরের এক শিশু। শিশুটি স্থানীয় বাগানে কুল কুড়াতে গেলে সিএনজি চালক ফিরোজ শিশুটিকে ডেকে নিয়ে টয়লেটের ভেতর ধর্ষণ করে ও সেই ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে হুমকি দেয়া হয় প্রাণে মেরা ফেলার।

পরে শিশুটির মধ্যে মানসিক পরিবর্তন দেখা দিলে চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে শিশুটি। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিশে ধর্ষণের মূল্য নির্ধারণ করা হয় দেড় লাখ টাকা। ৯২ হাজার টাকা হাতে পেলেও বাকি রাখে ৫৮ হাজার। পরে ঘটনা জানাজানি হলে ফুঁসে এলাকাবাসী।

এরপর ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিলে ৮ মার্চ রাতে শিশুটির মা ধর্ষক ও সালিশে জড়িত ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে, দাবি পুলিশের।

টাঙ্গাইলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচ.এম. মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী ফোনে যমুনা নিউজকে বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে কয়েকজন কিছুদিন আগেই এলাকা ছাড়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে যারা সালিস আয়োজন করেছিল, তাদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে।

/এটিএম

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post